নতুন বাজেটে ‌‌‌‘মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড’ প্রতিষ্ঠায় নতুন করে আরও বেশ কিছু দেশীয় শিল্প খাতকে কর সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া করোনা-পরবর্তী ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগামী অর্থবছরের বাজেটের সম্ভাব্য একটি খসড়া তৈরি করেছে। রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে খসড়া বাজেটের ওপর আলোচনা হয়।

আসন্ন ২০২২-২৩ বাজেটে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও আমদানি খাতে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে, সে বিষয়গুলো অর্থমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার ও রাজস্ব বোর্ডের বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আসন্ন বাজেটে ‌‌‌‘মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড’ প্রতিষ্ঠায় নতুন করে আরও বেশ কিছু দেশীয় শিল্প খাতকে কর সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া করোনা-পরবর্তী ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।

চলতি বাজেটে অটোমোবাইল, থ্রি হুইলার, ফোর হুইলার, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, হালকা প্রকৌশল শিল্পকে ১০ বছর কর অব্যাহতি দেয়া হয়। বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নতুন বাজেটে উৎপাদন ও সেবামুখী চার-পাঁচটি খাতে একই সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

এনবিআরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যাতে স্বস্তি পায় সেভাবে আগামী বাজেট সাজাতে হবে। নতুন করে কোনো কর বসবে না। বরং করহার কমিয়ে আওতা বাড়াতে হবে।’

করপোরেট কর, ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত থাকবে কি না– এসবসহ অন্যান্য রাজনৈতিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য কর প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে সারসংক্ষেপ তৈরি করছে এনবিআর। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেটটি বেশ বড়ই হচ্ছে। এটি হতে পারে ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট।

আগামী ৯ জুন এ বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট এটি। ২০১৯ সালের জুনে তিনি তার প্রথম বাজেট দিয়েছিলেন।

এরপরের দুই বছর বাজেট দিতে হয়েছিল দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ মাথায় নিয়ে। করোনা এখনও যায়নি, তবে দুর্বল হয়েছে। তাই করোনা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দুশ্চিন্তাও অনেক কম।